শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ডিবি কার্যালয়ে হিরো আলম

ডিবি কার্যালয়ে হিরো আলম

স্বদেশ ডেস্ক:

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের দিনে হামলার ঘটনায় হামলাকারীদের শনাক্তে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে যাচ্ছেন ‘একতারা’ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করা আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় তিনি ডিবি কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। হামলায় সরাসরি জড়িতদের শনাক্তের উদ্দেশ্যে তাকে ডাকা হয়েছে। হিরো আলম নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ডিবি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকেল ৩টায় তাকে ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে। হামলার ঘটনায় সরাসরি জড়িতদের শনাক্তের উদ্দেশ্যে তাকে ডাকা হয়েছে।

এ বিষয়ে হিরো আলম বলেন, আমার ওপর যে হামলা হয়েছে, সেই হামলাকারীদের শনাক্ত করতে ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ আমাকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকেছেন। এজন্য আমি এসেছি।

ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনের দিন সোমবার (১৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের বাইরে একদল লোক হিরো আলমকে মারধর করেন। মারধরের হাত থেকে বাঁচতে দ্রুত সেখান থেকে তাকে সরে যেতে দেখা যায়।

পরে তিনি রামপুরার বেটার লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়ের ১৫-২০ জনকে আসামি করে বনানী থানায় মামলা করেন হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী মো: সুজন রহমান শুভ।

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, সোমবার সকাল থেকে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরুর পর হিরো আলম বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করতে থাকেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় হিরো আলম বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে কেন্দ্র পরিদর্শন করতে যান।

এরপর প্রায় ৪০ মিনিট কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ৫-৬ জন সহযোগীসহ হিরো আলম বের হয়ে আসার সময় অজ্ঞাত পরিচয়ের ১৫-২০ জন তার গতিরোধ করে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে হিরো আলমকে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে।

মারধরের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের একজন হত্যার উদ্দেশ্যে হিরো আলমের কলার চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। এর মধ্যে আরেকজন এসে হিরো আলমের তলপেটে লাথি মারলে তিনি রাস্তায় পড়ে যান।

মামলার বাদি হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহযোগী সুজন রহমান শুভ এজাহারে আরো অভিযোগ করেন, হিরো আলম রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পর বাকি আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং টানাহেঁচড়া করে। এ সময় হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী রাজীব খন্দকার, রনি ও আল আমিন তাকে বাঁচাতে এলে তাদেরও মারপিট করে জখম করে আসামিরা।

এ হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার শুনানি শেষে গ্রেফতার ছানোয়ার কাজী ও বিপ্লব হোসেনের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালত।

অপর পাঁচ আসামি মাহমুদুল হাসান মেহেদী, মুজাহিদ খান, আশিক সরকার, হৃদয় শেখ ও সোহেল মোল্লাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877